পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেল থেকে ফিরে আসার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। গত ১৮ মাস ধরে তিনি তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন, যেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। তবে সম্প্রতি তাঁর ৩০ কেজি ওজন কমে গেছে, এবং বর্তমানে তিনি দিল্লির একটি হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অনুব্রত মণ্ডলের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা রাজনৈতিক মহল এই পরিস্থিতিকে ঘিরে বিভিন্ন আলোচনা করছে। তাঁর জামিনের প্রক্রিয়া চলছে, এবং মুক্তির পর তিনি কীভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরে আসবেন, তা নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। অনুব্রত, যিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা এবং প্রভাব নিয়ে অনেকেই আগ্রহী।
দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে অনুব্রতর রক্তচাপ এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যাগুলি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে, যা তাঁকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সহায়তা করছে। সূত্রে খবর, তিনি জামিনের জন্য আবেদন করেছেন এবং শীঘ্রই মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের মুক্তির পর রাজনৈতিক মহলে কীভাবে প্রতিক্রিয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, তাঁর ফিরে আসা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন মোড় আনতে পারে। কিছু বিশ্লেষক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে তাঁর রাজনৈতিক পদক্ষেপগুলি রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অনুব্রত মণ্ডল নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় রয়েছেন এবং তিনি ভক্তদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলছেন, “আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরতে চাই এবং আবারও আপনাদের সেবা করতে চাই।” এটি তার সমর্থকদের মধ্যে আশাবাদ জাগিয়েছে এবং তাঁকে রাজনৈতিক মাঠে ফেরার জন্য প্রস্তুত করছে।
এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের সাধারণ জনগণও আগ্রহী। অনেকে মন্তব্য করছেন যে, যদি তিনি দ্রুত মুক্তি পান এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাহলে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব আবারও পুনর্বহাল হতে পারে। অনুব্রত মণ্ডলের রাজনৈতিক কৌশল এবং দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সকলের দৃষ্টি এখন তার দিকে।
একটি বিষয় নিশ্চিত, অনুব্রত মণ্ডলের মুক্তি এবং তাঁর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সমাপ্তি হবে না। রাজনীতিতে তাঁর ভবিষ্যৎ এবং তাতে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন নিয়ে বিভিন্ন পর্যবেক্ষকরা আগ্রহী। সুস্থ হয়ে ফিরে এসে তিনি কীভাবে নতুন করে রাজনীতিতে পদার্পণ করবেন, তা সময়ই বলবে।