আরজি কর কাণ্ড নিয়ে শুরু থেকেই সুর চড়িয়েছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। তিনি নেমেছেন পথে, এবং সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এখন প্রশ্ন হলো, তিনি কি এবারের দুর্গাপুজো উদযাপনে অংশ নেবেন, নাকি উৎসব বিমুখ থাকবেন?
দেবলীনা জানান, “খুঁটিপুজো বা উদ্বোধনে যাওয়ার যত প্রস্তাব পেয়েছি, সবেতেই না করে দিয়েছি। আমাদের পরিবারের সকলে আন্দোলনে সামিল হয়েছি, ফলে এবার দুর্গাপুজোর উদযাপনে মেতে ওঠার মানসিকতা নেই।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, চলমান আন্দোলন এবং আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ তাঁর জীবনের প্রাধান্য পাচ্ছে।
অভিনেত্রী এদিন আরও জানান, “এখনও শপিং হয়নি, এবং এবারের পুজোর জন্য শপিং করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে বেঙ্গালুরুতে একটি ইভেন্টে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেটি আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।” দেবলীনার কথায়, কলকাতায় দুর্গাপুজোর সময় তিনি বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। এভাবে, তিনি এবারের উৎসব থেকে নিজেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দেবলীনা তাঁর বৃদ্ধা মায়ের অবদানও উল্লেখ করেছেন, যিনি অসুস্থতা সত্ত্বেও আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি বলেন, “মা যতদিন পেরেছেন, আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তাঁর এই উৎসাহ আমাদের সকলকে আরও শক্তি দেয়।”
দেবলীনা দত্ত কেবল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছেন তা নয়, বরং তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এই ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “ডাক্তারদের টুকে দিলেই আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে, এটা আমরা মানছি না।” এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং সংহতি গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।
এখনও স্পষ্ট, দেবলীনা এবারের উৎসবে ফিরছেন না। আরজি কর কাণ্ডের বিচার এবং আন্দোলন তাঁর কাছে সবকিছুর উপরে প্রাধান্য পেয়েছে। কলকাতায় দুর্গাপুজোর সময় সাধারণ মানুষের মুখের ম্লানতা এবং উদ্বেগ বোঝায়, এবারের পুজোতে আনন্দের থেকে বেশি প্রাধান্য পাবে সামাজিক ন্যায়ের চেতনাকে।
এখন দেবলীনার মতো আরও অনেকেই এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজছেন। তাদের উদ্দেশ্য, প্রতিবাদের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনা এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া। দেবলীনার এই সিদ্ধান্ত এবং বক্তব্য সমাজের অনেক মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।