বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন যেন বিয়ের পর থেকেই বি-টাউন থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছেন। তবে একটি ছবির প্রস্তাব তাঁকে ফের বলিউডে ফিরতে বাধ্য করেছে—ছবির নাম “অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল”। এই ছবির প্রস্তাব পাওয়ার পর থেকেই তাঁর অভিনয় নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঐশ্বর্যের অভিনয় ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বি-টাউন। বিয়ের পর বচ্চন পরিবারের বউ হওয়ার কারণে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে, এমন নির্দেশ ছিল। কিন্তু ঐশ্বর্য কোথাও যেন সেই ঝুঁকিটা নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। বিশেষ করে যখন “অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল” ছবির প্রস্তাব তাঁর কাছে আসে, তিনি ঠিক করে নেন যে তিনি এই ছবিতে অভিনয় করবেন।
তবে ছবিটির কিছু দৃশ্য বচ্চন পরিবারের কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরে ঐশ্বর্য তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চনকে পুরো গল্পটি জানানো থেকে বিরত থাকেন। পরবর্তীতে যখন ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হয়, তখন সেটি ভাইরাল হয়ে যায়, এবং বচ্চন পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ঐশ্বর্যকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেয়ার কথা ওঠে অভিষেকের কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত পরিবারের কথা ভেবে তাঁরা পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিলেন।
এছাড়াও, বচ্চন পরিবারের সদস্য জয়া বচ্চনের সঙ্গে ঐশ্বর্যের সম্পর্কেও তখন থেকে অশান্তি শুরু হয়। অভিষেক তখন অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন, যা স্পষ্ট ছিল। প্রকাশ্যে তাঁদের মধ্যে কথোপকথন এবং একসঙ্গে ছবি তোলার ইচ্ছাও ছিল না।
বর্তমানে তাঁদের সম্পর্কের পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। বিভিন্ন গুঞ্জনে শোনা যাচ্ছে যে, ঐশ্বর্য ও অভিষেকের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন অব্যাহত। তবে, পরিবার এবং তাঁদের সন্তানকে নিয়ে বিষয়টি এখন কেমন চলছে, তা নিয়ে চরম উৎসাহ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, বলিউডে ঐশ্বর্যের পুনরায় উপস্থিতি এবং তাঁর অভিনয় নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ প্রবল। আগামী দিনে তাঁর নতুন ছবি এবং চরিত্রগুলি দর্শকদের জন্য কেমন হবে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে একাধিক বিষয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল ঐশ্বর্যকে, এবং আজও তিনি সেই সব ঘটনার প্রভাব বহন করছেন।