মহারাষ্ট্রের নাগপুরে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও সুবক্তা নীতিন গডকড়ী রামদাস আথাওয়ালেকে মজাচ্ছলে খোঁচা দিলেন। তিনি বলেন, “চতুর্থবার আমাদের সরকার প্রত্যাবর্তন করবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই, কিন্তু রামদাস আথাওয়ালে মন্ত্রী হবেন, সেটা গ্যারান্টি দেওয়া যায়।” এই কথা বলার সময় আথাওয়ালে উপস্থিত ছিলেন এবং গডকড়ী দ্রুত জানান যে, “মজা করছিলাম।”
RPI নেতা রামদাস আথাওয়ালে
রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (RPI) নেতা রামদাস আথাওয়ালে তিনবার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বিজেপির সরকারের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মহারাষ্ট্রের মহায়ূতি সরকারের অংশীদার হিসেবে, আথাওয়ালের দল আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ১০ থেকে ১২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি জানাচ্ছে।
আথাওয়ালে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমাদের দলের প্রতীকেই ভোটে লড়ব। উত্তর নাগপুর, উমরেদ, উমরখেড় ও ওয়াসিম-সহ বিদর্ভে ৩-৪টি আসন চাই।” মহায়ূতি জোটে বিজেপি, শিবসেনা ও অজিত পাওয়ারের NCP অন্তর্ভুক্ত।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব
নীতিন গডকড়ীকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার হিসেবে একসময় চর্চা হয়েছিল, কিন্তু তিনি বর্তমানে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রী। সম্প্রতি তিনি জানালেন, তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়া আমার জীবনের লক্ষ্য ছিল না। আমার আদর্শ এবং সংগঠনের প্রতি আমার আনুগত্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
গডকড়ী এ প্রসঙ্গে বলেন, “এক ব্যক্তি বলেছিলেন, আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন, আমরা আপনাকে সমর্থন করব। আমি জানতে চেয়েছিলাম, কেন আমাকে সমর্থন করবেন? প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য আমার কোনও বাসনা নেই।”
উপসংহার
নীতিন গডকড়ীর রাজনৈতিক কৌশল ও আথাওয়ালের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি আকর্ষণীয় দিক তুলে ধরছে। তাঁদের এই আলাপচারিতা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি নতুন আলোচনার সূচনা করতে পারে, যা আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।